নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: কবি রবিন্দ্রনাথের কবিতায় তিনি লিখেছিলে “ নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে; কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে। ”। কবি রবিন্দ্রনাথের সেই কবিতার সাথে তাল মিলিয়ে সেই সুখের আশায় নদী পারের মানুষগুলো দিক-বেদিক হয়ে এপার ওপার ঘুরে বেড়ায়। সে রকম কাঁচপুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ নেতা মান্নান মেম্বারও একই রকম। আওয়ামীলীগ করেন দীর্ঘদিন ধরে। দলের সু-সময় দু:সময় দুটোই পার করেছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আশার পর তিনি কাঁচপুর এলাকায় শ্রমিকলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন। আবার সরকারী জমি দখল করে অবৈধ দোকান ও কার্যালয় নির্মান করেছেন। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি হওয়ার পর ক্ষমতায় ভাটা নামে। তখন তিনি সুখের আশায় নদীর এপার ওপার দু’পারই দৌড়িয়েছেন। কিন্তু কোথায়ও সুখ মিলাতে পারছেন না। লিয়াকত হোসেন খোকা ক্ষমতায় আশার পর তিনি সুখের আশায় প্রথমে উপজেলার আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের সাথে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন। কালামের প্রতিটি মিছিল মিটিংয়ে ছিল তার সক্রিয়তা। সেখান থেকে তিনি সুখের আশায় ব্যক্তি বদল করে চলে গেলেন সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের সাথে। তার সাথেও তিনি অনেক দিন এক সাথে রাজনীতি করেছেন। কায়সার হাসনাতের সাথে রাজনীতি করার পর তিনি ক্ষমতার মাপকাঠি করতে শুরু আওয়ামীলীগের নেতাদের মধ্যে। আহবায়ক কমিটি গঠন করার পর তিনি দীর্ঘদিন দেখেছেন ক্ষমতার পালা বদল। সেই পালা বদলের সাথে তাল মিলিয়ে তিনি এবার কায়সার হাসনাতকে ছেড়ে আহবায়ক কমিটির সদস্য ডাক্তার আবু জাফর বিরুর হাত ধরেছেন। সেখানে যদি কিছু সুখ মিলে। সে জন্য তিনি কায়সার কালামের পর আজ থেকে আহবায়ক কমিটির সদস্য বিরুর সাথে মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। মান্নানের মেম্বারের এহেন কর্মকান্ডে হতভাগ কাঁচপুর শ্রমিকলীগের নেতারা। কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি হঠাৎ করেই আহবায়ক কমিটির সাথে মিলে পুস্পস্তাপক অর্পন করেন।